প্রতিষ্ঠাঃ২০০৭
বিদ্যানিকেতন হাই স্কুল
ফোনঃ০২-২২৪৪৩১১৫৮
sbiddyaniketon135189@gmail.com
"শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ"
প্রতিষ্ঠাতাঃ জনাব কাশেম হুমায়ুন
সভাপতির বক্তব্য
সময়ের ধারাবাহিকতায় বছর ক্ষুদ্র হলেও জীবন প্রবাহে তা ক্ষুদ্র নয় বরং অনেক দীর্ঘ। এ সময়ে একেক প্রজন্মের আবির্ভাব ঘটেছে। যে সময়ে বিদ্যানিকেতন হাই স্কুল এ এলাকায় যাত্রা শুরু করেছে সে সময় অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখানে ছিল না। ২০০৭ সালে নগরের একটি অবহেলিত জনপদ ভুইয়ারবাগে এলাকার কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির আন্তরিক উৎসাহে এ স্কুলের প্রতিষ্ঠা। যাদের প্রাণান্ত প্রচেষ্টায় বিদ্যানিকেতন শুধু এ নগরে নয় ঢাকা বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পেরেছে। আমি তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিদ্যানিকেতন হাই স্কুল নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি। শুধু জেলা কিংবা বিভাগ নয় – এটি দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার। আমি জানি এটা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। কারণ আমরা যে এলাকায় বসবাস করি কিংবা এখানে যারা পড়াশুনা করছে। তারা অত্যন্ত নিম্ন আয়ের সাধারণ পরিবারের সন্তান। তাদেরও অনেক স্বপ্ন – মেধাবী এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা তাদের স্বপ্ন সফল করার জন্য একটি দিক উন্মোচন করেছি। গত এক যুগে তা অনেকটা সফল হয়েছি। এসব নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি।
আগামীতে প্রত্যাশা অনেক। শূন্য থেকে শুরু করে আমরা বিদ্যানিকেতন হাই স্কুল নিয়ে অনেকটুকু পথ হেঁটে এসেছি। মাত্র ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যে পথ চলা শুরু হয়েছিল মাত্র এক যুগে তা দেড় হাজারে পরিপূর্ণ হয়েছে। ৫ জন শিক্ষক থেকে এখন ৬০ জন শিক্ষক কাজ করছেন। অগ্রযাত্রার পাশে এসে দাড়িয়েছেন অনেক হৃদয়বান শুভাকাঙ্ক্ষী। যাদের আর্থিক ও মানসিক সহযোগিতা আমাদের পথ চলার পাথেয় হয়ে আছে। শ্রম, মেধা ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ২০২০ সাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী। এ বছরটিকে আমরা মুজিববর্ষ হিসেবে পালন করছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে বর্তমান প্রজন্মকে সত্যিকারের আদর্শ নাগরিক হিসেবে তৈরি করার দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করেছি। বিগত সময়ে বিদ্যানিকেতন হাই স্কুল একটি পরিপূর্ণ হাই স্কুলে পরিণত হয়েছে। আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই।
আগামীতে এটাকে কলেজে রূপান্তরিত করবো। পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা চালু করার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সুদৃষ্টি রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের প্রতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্কুলের জন্য শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রদান করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন । ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে একটি অত্যাধুনিক ৬ তলা ভবন নির্মাণ হয়েছে। এটি আমাদের জন্য বিশাল প্রাপ্তি। জেলার একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্মার্টবোর্ডের মাধ্যমে পাঠদান করা হয়। বর্তমান সরকার ভিশন-২০২১ শিক্ষাখাতে বাস্তবায়নে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে অবশ্যই সফল হব । বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে যারা সাথে আছেন যাদের সহযোগিতা এবং সাহায্য পেয়েছি তাদের প্রতি রইলো অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা। ভবিষ্যতে অনুকূল সহযোগিতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
কাশেম হুমায়ুন
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,পরিচালনা পর্ষদ ও চেয়ারম্যান,বিদ্যানিকেতন ট্রাস্ট।